আর্কিটেকচার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা: ভুলগুলো থেকে শিখুন, নম্বর বাঁচান!

webmaster

건축 실기 시험 후 복기하기 - **Subject:** An architecture student reviewing an exam paper.
    **Description:** A fully clothed a...

আর্কিটেকচার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাটা সবে শেষ হল। পরীক্ষার হলে বসে যেন মনে হচ্ছিল একটা অন্য জগতে প্রবেশ করেছিলাম, যেখানে সময় থমকে গেছে আর চারদিকে শুধু স্কেচ, ড্রয়িং আর নকশার আনাগোনা। পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের দুর্বলতাগুলো আরও একবার টের পেলাম, বুঝলাম কোথায় আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।আমার মনে হয়, এই পরীক্ষা ভবিষ্যতের পথ খুলে দিয়েছে। নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও ভালো কিছু করার সুযোগ এসেছে। তাই, পরীক্ষা কেমন হল, কোথায় ভুল হল, আর সামনের দিনে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, সেই নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। একদম নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তাই হয়তো অনেকের সাথে মিলে যাবে।এখন প্রশ্ন হল, পরীক্ষার পরে কী করা উচিত?

কীভাবে নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করা যায়? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চলেন, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই।নিশ্চিতভাবে জেনে নিন!

আর্কিটেকচার প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার পরের মুহূর্তগুলো কেমন কাটানো উচিত, সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।

পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষণ: কোথায় ভুল হলো, দেখা যাক

건축 실기 시험 후 복기하기 - **Subject:** An architecture student reviewing an exam paper.
    **Description:** A fully clothed a...
পরীক্ষার পরে উত্তরপত্র একবার ভালো করে দেখাটা খুব জরুরি। আমার মনে আছে, একবার একটা ভুল করেছিলাম, যার জন্য অনেক নম্বর কাটা গিয়েছিল। তাই, বলছি, খাতাটা হাতে পেলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন।

নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করুন

* কোন প্রশ্নগুলোতে ভুল হয়েছে, আর কেন ভুল হয়েছে, সেটা বের করুন। হতে পারে, আপনি প্রশ্নটা বুঝতে ভুল করেছিলেন, অথবা সময় কম ছিল তাই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল হয়ে গেছে।
* ভুলগুলো আলাদা করে একটা খাতায় লিখে রাখুন। এরপর যখন আবার প্রস্তুতি নেবেন, তখন এই ভুলগুলো যাতে আর না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

শিক্ষকের মন্তব্যগুলো মন দিয়ে পড়ুন

* শিক্ষক আপনার খাতায় কী লিখেছেন, সেটা ভালো করে পড়ুন। শিক্ষকরা সাধারণত ভুলের পাশাপাশি কিছু ভালো দিকও উল্লেখ করেন।
* শিক্ষকের দেওয়া পরামর্শগুলো মেনে চললে ভবিষ্যতে ভালো ফল করা সম্ভব। শিক্ষকের কথাগুলো মন দিয়ে শুনলে বুঝতে পারবেন, তারা আসলে আপনার ভালোর জন্যই বলছেন।

সিলেবাসের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন

Advertisement

আর্কিটেকচারের সিলেবাস বিশাল। সব বিষয় সমানভাবে জানা কঠিন। পরীক্ষার পর একটু সময় নিয়ে ভাবুন, কোন বিষয়গুলো আপনার কাছে কঠিন লেগেছে।

বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা চিহ্নিত করুন

* ড্রইং, ডিজাইন, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং – কোন অংশে আপনি দুর্বল, সেটা খুঁজে বের করুন।
* একটা তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার দুর্বল বিষয়গুলো লেখা থাকবে। সেই অনুযায়ী, বেশি সময় দিন সেই বিষয়গুলোর ওপর।

অনলাইন রিসোর্স এবং শিক্ষকের সাহায্য নিন

* আজকাল অনলাইনে অনেক রিসোর্স পাওয়া যায়। Khan Academy বা NPTEL-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আর্কিটেকচারের ওপর অনেক ভালো লেকচার আছে, সেগুলো দেখতে পারেন।
* যদি কোনো বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে শিক্ষকের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না। শিক্ষকরা সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত।

সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব

আর্কিটেকচার পরীক্ষায় সময়ের একটা বিশাল ভূমিকা থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, সব প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও সময়ের অভাবে শেষ করা যায় না।

মক টেস্টের মাধ্যমে প্রস্তুতি

* নিয়মিত মক টেস্ট দিন। এতে পরীক্ষার একটা ধারণা তৈরি হবে এবং সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হবে।
* মক টেস্ট দেওয়ার সময় স্টপওয়াচ ব্যবহার করুন, যাতে আপনি সময় সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন।

সময় ভাগ করে নিন

* পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেখার জন্য কয়েক মিনিট সময় রাখুন। কোন প্রশ্নে কত সময় দেবেন, সেটা আগে থেকে ঠিক করে নিন।
* কঠিন প্রশ্নগুলো পরে করার জন্য রাখুন এবং সহজ প্রশ্নগুলো আগে শেষ করুন।

নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন

আর্কিটেকচার এমন একটা বিষয়, যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার সুযোগ থাকে। নতুন টেকনোলজি, ডিজাইন ট্রেন্ডস সম্পর্কে আপডেটেড থাকাটা খুব জরুরি।

ওয়ার্কশপ এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করুন

* বিভিন্ন ওয়ার্কশপ আর সেমিনারে যোগ দিন। সেখানে আপনি নতুন কিছু শিখতে পারবেন এবং অন্যান্য আর্কিটেক্টদের সাথে কথা বলার সুযোগ পাবেন।
* আমি নিজে বেশ কয়েকটা ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছি, যেখানে নতুন সফটওয়্যার আর ডিজাইন নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।

বিভিন্ন আর্কিটেকচার ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইট অনুসরণ করুন

건축 실기 시험 후 복기하기 - **Subject:** Students participating in an architecture workshop.
    **Description:** A group of ful...
* আজকাল অনেক অনলাইন ম্যাগাজিন আর ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আর্কিটেকচারের নতুন নতুন কাজ দেখানো হয়। ArchDaily বা Dezeen-এর মতো ওয়েবসাইটগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
* এগুলো দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন, এখনকার দিনে কেমন ডিজাইন চলছে এবং ভবিষ্যতে কোন ডিজাইনগুলো জনপ্রিয় হতে পারে।

বিষয় কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্স
ড্রইং নিয়মিত স্কেচ করুন, বিভিন্ন টেকনিক প্র্যাকটিস করুন ফ্রান্সিস ডি.কে. চিং-এর “ফর্ম, স্পেস, অ্যান্ড অর্ডার”
ডিজাইন বিভিন্ন বিল্ডিং ডিজাইন স্টাডি করুন, নিজের ডিজাইন তৈরি করুন “নিউ নরবার্গ”
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বেসিক কনসেপ্টগুলো ভালো করে বুঝুন, প্র্যাকটিস প্রবলেম সলভ করুন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বই
সময় ব্যবস্থাপনা মক টেস্ট দিন, সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস করুন অনলাইন মক টেস্ট প্ল্যাটফর্ম
Advertisement

নিজের কাজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন

আর্কিটেকচারের ছাত্র হিসেবে আপনার একটা ভালো পোর্টফোলিও থাকা খুব জরুরি। এটা আপনার কাজের পরিচয় দেয় এবং চাকরি পেতে সাহায্য করে।

সেরা কাজগুলো নির্বাচন করুন

* আপনার সেরা ড্রইং, ডিজাইন আর মডেলগুলো পোর্টফোলিওতে যোগ করুন। এমন কাজ নির্বাচন করুন, যা আপনার দক্ষতা প্রমাণ করে।
* পোর্টফোলিওতে আপনার কাজের একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন। কেন আপনি এই কাজটা করেছেন, আর কী চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটা বুঝিয়ে বলুন।

ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল কপি তৈরি করুন

* পোর্টফোলিওর একটা ডিজিটাল কপি তৈরি করুন, যা আপনি সহজে ইমেইল বা ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন।
* একটা ফিজিক্যাল কপিও রাখুন, যা ইন্টারভিউয়ের সময় দেখাতে পারবেন।

বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করুন

Advertisement

শুধু বই পড়ে বা ক্লাস করে আর্কিটেকচার শেখা যায় না। বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ইন্টার্নশিপ করাটা খুব দরকারি।

বিভিন্ন আর্কিটেকচার ফার্মে ইন্টার্নশিপ করুন

* বিভিন্ন আর্কিটেকচার ফার্মে ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করুন। ইন্টার্নশিপ করার সময় আপনি সাইটে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
* আমি যখন প্রথম ইন্টার্নশিপ করি, তখন একটা বিল্ডিংয়ের ডিজাইন থেকে শুরু করে তৈরি হওয়া পর্যন্ত সব কিছু নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম।

নিজের প্রজেক্ট তৈরি করুন

* ছোটখাটো প্রজেক্ট নিজে করার চেষ্টা করুন। যেমন, নিজের বাড়ির ডিজাইন করা বা কোনো বন্ধুর জন্য একটা ফার্নিচার ডিজাইন করা।
* এতে আপনার ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে এবং নতুন কিছু করার সাহস পাবেন।আর্কিটেকচার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি নিজের দুর্বলতাগুলো জানতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে ভালো করার সুযোগ পাবেন। তাই, হতাশ না হয়ে নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইল!

শেষ কথা

আর্কিটেকচার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়ে এতক্ষণ যা আলোচনা করা হলো, আশা করি তা তোমাদের কাজে লাগবে। নিজের ভুলগুলো শুধরে, দুর্বল জায়গাগুলোতে জোর দিয়ে, আর নতুন কিছু শেখার চেষ্টা চালিয়ে গেলে সাফল্য অবশ্যই আসবে। মনে রেখো, চেষ্টা কখনো বিফলে যায় না।

পরিশেষে, তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আর্কিটেকচারের জগতে তোমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাও, এই শুভকামনা রইল।

দরকারী কিছু তথ্য

১. পরীক্ষার আগে বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলো সমাধান করো। এতে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাবে।

২. পরীক্ষার হলে মাথা ঠান্ডা রাখো এবং সময় মতো সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করো।

৩. ড্রইং করার সময় পেন্সিল এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলো হাতের কাছে রাখো, যাতে সময় নষ্ট না হয়।

৪. ডিজাইন করার সময় নিজের ক্রিয়েটিভিটি ব্যবহার করো এবং নতুন কিছু করার চেষ্টা করো।

৫. শিক্ষকের পরামর্শ মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং তাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করো।

Advertisement

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

পরীক্ষার খাতা ভালোভাবে নিরীক্ষণ করে ভুলগুলো চিহ্নিত করতে হবে।

সিলেবাসের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোর ওপর বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

সময় ব্যবস্থাপনার জন্য মক টেস্ট দিতে হবে এবং সময় ধরে পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

নতুন কিছু শেখার জন্য ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন আর্কিটেকচার ফার্মে ইন্টার্নশিপ করতে হবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: নিশ্চিতভাবে জেনে নিন! বলতে কী বোঝায়?

উ: “নিশ্চিতভাবে জেনে নিন!” মানে হল কোনো কিছু সম্পর্কে একেবারে নিশ্চিত হওয়া, খুঁটিনাটি সব তথ্য জেনে নেওয়া। কোনো বিষয়ে সন্দেহ বা অস্পষ্টতা থাকলে, সেটা দূর করে পরিষ্কার ধারণা লাভ করা। যেমন, কোনো একটা নতুন নিয়ম বা পদ্ধতি শুরু করার আগে, সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়াটা খুব জরুরি।

প্র: “নিশ্চিতভাবে জেনে নিন!” কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উ: “নিশ্চিতভাবে জেনে নিন!” এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে, এটা আমাদের ভুল করা থেকে বাঁচায় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। যখন আমরা কোনো কিছু সম্পর্কে ভালোভাবে জানি, তখন আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারি এবং সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। এছাড়া, এটা আমাদের সময় এবং পরিশ্রমও বাঁচায়, কারণ ভুল পথে হেঁটে পরে সেটা শুধরানোর চেয়ে প্রথমে সঠিক পথে এগোনো অনেক ভালো।

প্র: দৈনন্দিন জীবনে “নিশ্চিতভাবে জেনে নিন!” এর ব্যবহার কী?

উ: দৈনন্দিন জীবনে “নিশ্চিতভাবে জেনে নিন!” এর অনেক ব্যবহার আছে। যেমন, নতুন কোনো গ্যাজেট কেনার আগে তার ফিচারগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া, কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া, অথবা নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করার আগে উপকরণ ও পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া। এমনকি, রাস্তা পার হওয়ার সময় ভালোভাবে দেখে নেওয়াটাও “নিশ্চিতভাবে জেনে নিন!” এর একটা উদাহরণ, যা আমাদের জীবন বাঁচাতে পারে।